কাঁচা আমের উপকারিতা
* ভিটামিন সমৃদ্ধ ও মিনারেলে ভরপুর।
* ক্যারোটিন ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ কাঁচা আম চোখ ভাল রাখার জন্য
দরকার। বিটা ক্যারোটিন থাকায় হৃৎপিন্ডের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন-২ ভাল পরিমাণে রয়েছে।
* ক্যালসিয়াম ও আয়রন রয়েছে।
* পরিশ্রমী বা নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যেস থাকলে কাঁচা আম
খেতে পারেন। পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে।
* পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকায় অ্যাসিডিটি
বা অম্বল, পেশি সংকোচন, মানসিক চাপের ফলে তৈরি শারীরিক সমস্যায় উপকারী।
* কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় তা অ্যানিমিয়া বা
রক্তাল্পতা সমস্যায় বেশ উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ* ফাইবার বা আঁশ সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য
দূর করে। এছাড়া কোলন বা মলাশয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* কলেরা, রক্তাল্পতা ও যক্ষা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে
ও গরমের সময় সর্দিগর্মি থেকে রক্ষা করে।
* আমের বীজ শুকিয়ে চূর্ণ করে ডায়রিয়া সারাতে ব্যবহার করা
হয়।
* আমের পাতা ব্যবহার করে বহুমূত্ররোগের প্রকোপ কমানো যায়।
* নিফ্রাইটিস বা বৃক্ক প্রদাহ এবং কিডনির সমস্যা সমাধানে
সাহায্য করে।
* নিঃশ্বাসের সমস্যা, জ্বরের সমস্যা উপশম করে।
অন্যান্য উপকারিতা
* যথেষ্ট পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।
* অ্যালকালাইন জাতীয় খাবার হওয়ায় অ্যাসিডিটি উপশমে ভাল কাজ
করে।
* অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় অ্যান্টি-ভাইরাস ও অ্যান্টি-ক্যান্সার
উপাদান রয়েছে।
* ত্বক উজ্জ্বল রাখতে আমের পাল্প বা আঁশ সাহায্য করে।
* আম পাতলা করে কেটে ত্বকের ওপর কিছুক্ষণ রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা কমে যাবে।
* কাঁচা আম শুকিয়ে তৈরি করা আমচূর গুঁড়া স্কার্ভি সারানোয় কার্যকর।
যথেষ্ট পরিমাণে টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল না খাওয়ার ফলে সৃষ্ট রক্তঘটিত রোগই হচ্ছে স্কার্ভি।
* কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। এমনকি পাকা আমের
তুলনায় কাঁচা আমে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে থাকে।
Reference: bdnews24
0 comments: